Tuesday, September 29, 2015

জননেত্রী শেখ হাসিনার ৬৯তম জন্ম বার্ষিকী

come to mukthi and learn the truth
এইতো ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০১৫ চলে গেল জননেত্রী শেখ হাসিনার ৬৯তম জন্ম বার্ষিকী। দেশে ও দেশের বাইরে সকল আওয়ামী ভক্ত অনুরাগী তথা স্বাধীনতার স্বপক্ষশক্তির সকল পেশা ও শ্রেণীর মানুষ উৎযাপন করলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু তনয়া বাংলাদেশের একমাত্র সফল রাষ্ট্রনায়ক দেশরত্ন শেখ হাসিনার জন্ম বার্ষিকী পালন করলেন। নেত্রীর জন্য সবাই প্রাণ ভরে দোয়া করেছেন। কামনা করেছেন দীর্ঘ আয়ুর জন্য।

সাথে সাথে প্রার্থনা করেছেন তার সুস্বাস্থ্য ও সুশাসনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আরো উন্নতির শিখরে পৌঁছে নেবার ক্ষমতা প্রদানের জন্য। বিগত ৫৪ বছরের শাসনামলে যে উন্নয়ন হয়নি, জননেত্রী শেখ হাসিনা সে উন্নয়ন করে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে একটি নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার সকল প্রশংসা অর্জন করেছেন। সময়৭১ জননেত্রী তথা আওয়ামী লীগের শাসনামলে বাঙ্গালী জাতির ভাগ্য উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির পথে নিয়ে গিয়ে আরো সুনাম অর্জনের মাধ্যমে জাতিরজনকের সন্মান অক্ষুন্য রাখার লক্ষ্যে সকল প্রকার প্রচার ও প্রকাশনা করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছে। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।  
মোকতেল হোসেন মুক্তি 
ও 
শাহিন রাকিব 

Friday, September 25, 2015

১৯৭১ স্বাধীনতাপ্রাপ্তির বছর

come to mukthi and learn the truth
৭১ সাল জাতির স্বাধীনতা প্রাপ্তির বছর
৭ ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষন মুক্তিযুদ্ধের সুচনা
২৬ শে মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষনা
১৭ ই এপ্রিল মুজিবনগর সরকার ঘোষনা
৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত মিত্রবাহিনী
১৬ ই ডিসেম্বর পাক বাহিনীর অাত্মসমর্পন
১৬ ই ডিসেম্বর স্বাধীনতা প্রাপ্তির বিজয় দিবস
১০ই জানুয়ারী ৭২ বুঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রর্ত্যাবর্তন
পাক বাহিনীর ধংশযজ্ঞে লন্ডভন্ড স্বাধীন দেশ
দেশ গড়ার প্রত্যয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু
১৯৭৪ সালে দেশী- বিদেশী স্বাধীনতার শত্রুদের কবলে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু
১৯৭৫ সাল জাতির ইতিহাসে কলংকিত সাল
১৯৭৫ সালের ১৫ অাগষ্ট জাতির ইতিহাসের
মহানায়ক স্বাধীনতার মহাকাব্যের মহাকবি
জাতির জনকের মহাপ্রয়াণ ৷ দেশী বিদেশী
স্বাধীনতার শত্রুদের বুলেটে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে পাপিষ্টের দল ৷ জাতি
মর্মাহত স্থম্বিত ও শোকাহত হৃদয়ে ক্ষোভ
নিন্দা ও প্রতিরোধ গড়ে তোলে শোককে শক্তিতে পরিনত করে খুনীদের বিচার ও রায়ে
মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে ৷ জাতি বঙ্গবন্ধুর খুনীদের রায় কার্যকর করার জন্য সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতার অঙ্গীকারাবদ্ধ ৷ জাতির গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পাশে
অামরাও ৷



মুক্তিযোদ্ধারা অবহেলিত আর তাদের অবদানই আজকে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে তুমি গদিতে আসীন।

এই যে মুক্তিযোদ্ধাদের দেখছেন, এদের মধ্যে অনেকেই বেচে নেই; কি লাভ হল তাদের যুদ্ধ করে? এরাও স্বাধীনতার স্বাদ পায়নি; এরাও আমার সাথে ৯ দিন পায় হেটে কোলকাতা গিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিতে। কেন? কিসের নেশায়? কিসের আশায়? যে স্বাধীনতা মুক্তিযোদ্ধাদেরকেও বিভাজনের শ্রেণীবিন্যাসে ক্ষত বিক্ষত করে; যে স্বাধীন দেশে মুক্তিযোদ্ধাদেরকেও ধনী দরিদ্র্যের সারিতে দাড় করিয়ে বিচার করা হয়, সে স্বাধীনতাই কি জাতিরজনকের মূল লক্ষ্য ছিল? তাহলে জাতীয় সংবিধানে সাম্য ও সমাজতন্ত্রের পাতাটি কেটে ফেলা হয় না কেন?
আমার চোখে দেখা যে সকল মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধের নামে ৭১ এ অস্ত্রের মূখে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ীতে ডাকাতি স্বরনাংকার লুণ্ঠন ও যুবতি মেয়েদের ধর্ষণ করেছিল; তারাই আজ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সনদপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা আর গোপালগঞ্জ মাদারীপুর কালকিনি রাজঐর শিবচরের সকল লোভী লুটেরা অমুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছেন প্রখ্যাত হেমায়েত বাহিনীর প্রধান আমাদের হেমায়েত ভাই। প্রত্যেকের নিকট থেকে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা গ্রহণ করে তিনি এ মহান কাজটি করেছেন। ধন্যবাদ বীর মুক্তিসেনা কমান্ডার হেমায়েত সাহেব কে।
অবাক লাগে যখন দেখি ৭১ এ খাসের হাট বাজারের বনিক লঘু সম্প্রদায় হিন্দুদ মেয়েদের ধর্ষণ কারী আর ধন সম্পদ লুণ্ঠনকারীর নাম মুক্তিযোদ্ধা সংসদের তালিকায়????????? 

ধিক মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রতি। থুহ মিথ্যার বেসাতি দুর্নীতিবাজ বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল!
তোমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেলাম। তোমরা সে স্বাধীনতার ইতিহাসকে মিথ্যার বেসাতিতে কলঙ্কিত করে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুকেই অপমান করেছ। আবার তোমরাই জাতিরজনকের ছবি টাঙ্গিয়ে ফায়দা লুটতে কুণ্ঠাবোধ করনি; তোমাদের আসল রূপ আজো আওয়ামী লীগ ও জননেত্রী শেখ হাসিনাও চিনতে পারেন নি; যেমন ১৯৭৫ এজাতিরজনক বঙ্গবন্ধু চিনতে পারেন নি খন্দকার মোস্তাক গঙদের।

Notes of Muktimusician: মুক্তিযোদ্ধা Freedom Fighters

Notes of Muktimusician: মুক্তিযোদ্ধা Freedom Fighters: Freedom Fighters “You remember us for only two or three days in a year. Rest of our time is spent on this floor — in turmoil and ill...

come to mukthi and learn the truth

মুক্তির কিছু কথা।

come to mukthi and learn the truth
বাংলাদেশ ছিলোআছে এবং থাকবে যতোদিন না বিধাতার হুকুমে মহা প্রলয় না ঘটবে। যতোদিন বাংলার মাটিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সর্বশেষ একজন আদর্শ সৈনিকও বেঁচে থাকবেযতোদিন নৌকার একটি ভোটারো বাংলার কোন একটি নিভৃত পল্লীতে জয় বাংলার আদর্শ নিয়ে জীবিত থাকবেততোদিন বাংলাদেশ থাকবে। থাকবে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা ও সন্মান। দুনিয়ার কোন হায়েনা পেশী শক্তি এই পবিত্র মাটির একটি কনাও ছুতে পারবে না। যেমন পারেনি ৭১এর ঘনকাল মুমুরষদিনগুলিতেও। আজ যারা ভারতের দালাল বলে আওয়ামী লীগকে ধিক্কার দেয়ধর্মের নামে জাতিতে জাতিতে ভেদাভেদ, মানুষে মানুষে হিংসা বিদ্বেষ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হাঙ্গামার দিকে দেশকে ঢেলে দিতে চাইছে, ভাইয়ে ভাইয়ে হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খৃষ্টানের লেবাস পড়িয়ে বাঙ্গালী জাতির আজীবনের ঐক্যবন্ধনে বিভাজনের বিষ বৃক্ষ রোপণের পায়তারা করছে। ওরাই আসলে দেশদ্রোহী পশ্চিমা প্রভূদের পা’চাটা কুকুরের দল।

যেয়ে দেখুন,দের ঘরে ২৪ ঘন্টা হিন্দি সিরিয়াল চলেহিন্দি সিনেমা না দেখলে দের ঘুম হয়না। ওদের বউ ঝি'রা ভারতের থ্রি পীচ আর শাড়ী না পড়লে কোন অনুষ্ঠানে যেতে পারে না। অন্যদিকেরাই আবার গোপনে ভারতের কাছে বিশেষ চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব দিয়ে আগামী নির্বাচনে সমর্থন আদায়ের জন্য তেল মালিশ করে।
বুঝে দেখুনবুকে হাত দিয়ে বলুনপাকিস্তানের হায়েনা পশুর দল ৭১ এ ৩০ লক্ষ মানুষ হত্যা এবং ২ লক্ষ ৪০ হাজার মা বোনের ইজ্জত লুন্ঠনকারী কিভাবে আমাদের বন্ধু হয়ভারতের সাথে আমাদের পারস্পরিক শিল্প বানিজ্য ও ভউগলিক দেনা পাওনা/ দ্বন্দ বিভেদ থাকতেই পারে। ভাইয়ে ভাইয়ে যদি সম্পদ বন্টন সংক্রান্ত বিভেদ থাকতে পারেতাহলে ভারতের সাথেও থাকাটা অতি সাভাবিক। উভয় দেশের সার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে ইতোমধ্যেই শেখ হাসিনার সরকার একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে যার আশু বাস্তবায়ন ও অতি শীঘ্রই সম্পন্ন করা হবে। শেখ হাসিনা বরাবরই বলে থাকেন যে আমাদের কোন প্রভূ নেইরয়েছে বন্ধু এবং ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। যার প্রমান তিস্তা নদীর পানির হিস্যার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা ঠিক জাতির জনকের মতোই কঠোর ভাষায় আজকের ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি তখনকার হোম মিনিষ্টার শ্রী প্রণব মূখারজীকে ষ্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছিলেন” নো তিস্তা, নো ট্রানজিট”। সর্বোপরি, কোন তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই জননেত্রী শেখ হাসিনা তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি সম্পাদন করেছেন।
কইবিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা বিবিও তো দুই দুই বার প্রধানমন্ত্রী ছিলেনতিনি কেনো তিস্তার পানি বন্টনের বিষয়টির সমাধান করলেন নামাঝে মাঝে খালেদা জিয়ার বক্তব্য শুনলে হাসি পায় আবার দুঃখও লাগে। তিনি কখনোই বাংলাদেশের সমূদ্র সীমানা নিয়ে মাথা ঘামাননি এবং মায়ানমারের কাছে বাংলাদেশের ন্যায্য হিসসার দাবী তোলেন নি। তিনি মূখ খুললেন যখন জননেত্রী শেখ হাসিনা মায়ানমারের নিকট থেকে বাংলাদেশের ন্যায্য হিসসা বুঝে নিলেন। বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া সমুদ্র ভুখন্ড যেদিন দেশরত্ন শেখ হাসিনা উদ্ধার করে বিশ্বের কাছেজাতি সংঘের কাছে এক আপোষহীন রাষ্ট্র নায়ক হিসেবে সন্মানিত হলেন। খালেদা জিয়া বললেন
শেখ হাসিনা সরকার মায়ানমারের কাছ থেকে বাংলাদেশের আসল পাওনা বুঝে আনতে পারেনি,আমরা আরো পাবোবি এন পি সরকার হলে পুরো পুরি বুঝে নিতো।
আজ দেশবাসীর কাছে আমার একটি প্রশ্নঃ তিনি কোথায় ছিলেন ১৯৯১-১৯৯৫ এবং ২০২০১-২০০৬ সালেকি সারাদিন ফালু আর রাজাকারদের সাথে চক্রান্তের জাল বুনোনের কাজে ব্যস্ত ছিলেন? নাকি শেখ হাসিনাকে হত্যার গভীর ষড়যন্ত্র আর পাকিস্তানের দেয়া অর্থের হিসাব করতে করতে ভুলেই গিয়েছিলেন যে আমাদের সমুদ্রের অনেক খানি ভুখন্ড মায়ান্মার সরকার দখল করে রেখেছে?
ধিক খালেদা জিয়া ধিক! আপনার মূর্খ অর্বাচীন রাজনৈতিক অদূরদর্শিতাকে। আপনি বাংলার নিরীহ সহজ সরল দুখি মানুষকে আর কতো বোকা বানাবার চেষ্টা করবেন?
মোকতেল হোসেন মুক্তিসভাপতিমালদ্বীপ আওয়ামী লীগ।
www.awamileaguemaldives.com/

বঙ্গবন্ধু হত্যা ও কিছু প্রসঙ্গ!

come to mukthi and learn the truth
আমার এই লিখার মূল উৎস হলো 'হৃৎকমল' নামক একজন সদস্য আমার একটি পোস্টে নিম্নের উক্তিটি করেছিলেন, তারই জবাবে। "আর শেখ মুজিবকে কোন সাধারণ মানুষ হত্যা করেনি। তার নিজের রক্ষক এবং আক্ষরিক অর্থেই তার দল বাকশালের লোকেরা হত্যা করেছিল। হত্যাকারীদের নেতাগণ সবাই বাকশাল সদস্য ছিল। আর হত্যার পর লাভবান হয়েছিল যারা এবং ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবের লাশ ফেলে রেখে নতুন সরকারে মন্ত্রী হওয়ার জন্য লাইন দিয়েছিল তারা সবাই তার দলের লোক ছিল। সেই বেঈমানদের সন্তানাদিরাই এখন যাকে তাকে শেখ মুজিব হত্যার জন্য দায়ি করে বেড়ায়। আর আমি যুগাধিক কাল শীর্ষ প্রেস মিডিয়ায়কি করেছি না করেছি তা কোন চোর-ছ্যাচ্ছরদের ওয়ারেশদের না জানলেও চলবে।" 
আবারও আপনাকে নিয়ে উপভোগের বিষয় পেলাম, তাই আমার পোস্টের মন্তব্যে আপনার শেষ অধ্যায়টির উদ্ধৃতি থেকে আমার জবাবটা দিলাম। আমি অবশ্য কর্ণেল তাহেরকে নিয়ে একটা পোস্ট দেবো বলে মনে করেছিলাম। কারণ তাহের হত্যার বিচার তো তার দলের লোকেরা এবং আর আত্মীয় স্বজন পেলেন, কিন্তু তাহের যে জিয়ার সাথে বঙ্গবন্ধুর হত্যায় জড়িত ছিলেন, তার বিচারটা কবে হবে। জাতির কাছে এই প্রশ্ন রেখে, তাহেরকে নিয়ে আমার রচনার উদ্দেশ্য ছিল। যাহোক আপনার এই উক্তিটি আমার পোস্টে পাওয়াতে, আপনার উদ্দেশ্যেই তা উৎসর্গ করলাম। কারণ কালো চশমা পড়ে, আলোতে দেখা যায় আবছা ভাবে, অন্ধকারে তো কিছুই না। কালো চশমা পড়ে অভ্যস্থ আপনারা, তাই অন্ধকারেটুকু কি দেখতে পাবেন? চেষ্টা করুন একটু দেখার। তাই উপরে আপনার উদ্ধৃতি উপর ভিত্তি করে কিছুটা বলার চেষ্টা করলাম। নিচের বোল্ড করা অংশটুকু তাহেরের শেষ চিঠি থেকে নেয়া:
রায় শুনে আমাদের আইনজীবীরা হতবাক হয়ে গেলেন। তারা এসে আমাকে জানালেন, যদিও এই ট্রাইব্যুনালের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না তবুও তারা সুপ্রিম কোর্টে রিট করবেন। কারণ বেআইনিভাবে এই আদালত তার কাজ চালিয়েছে ও রায় দিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে প্রেসিডেন্টের কাছে আবেদন করবেন বলে বললেন। আমি তাদেরকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলাম, প্রেসিডেন্টের কাছে আবেদন করা চলবে না। এই প্রেসিডেন্টকে আমি প্রেসিডেন্টের আসনে বসিয়েছি, এই বিশ্বাসঘাতকদের কাছে আমি প্রাণভিক্ষা চাইতে পারি না
"এই প্রেসিডেন্টকে আমি প্রেসিডেন্টের আসনে বসিয়েছি। এই বিশ্বাসঘাতকদের কাছে আমি প্রাণভিক্ষা চাইতে পারি না।" তিনি যখন চিঠিটি লিখেন, তখন সরকারে কারা ছিল? যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী, তারাই। কারণ তারই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদেরকে পুণর্বাসন করেছিল, হত্যাকারীদের বিচার না করে তাদেরকে পুরস্কৃত করেছিল ইত্যাদি, যা কারই অজানা নেই। এছাড়াও স্বাধীনতা বিরোধীদেরও তারা পুণর্বাসন করেছিল। কর্ণেল তাহের তার চিঠিতে নিজেই উপরোক্ত স্বীকার উক্তি দিয়ে প্রমান করেছিলেন যে, বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে তিনিও সম্পৃক্ত ছিলেন। কারণ তিনি তার চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, 'এই প্রেসিডেন্টকে আমি প্রেসিডেন্টের আসনে বসিয়েছি।' এই বসানোর পিছনে তাহেরের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পিছনে ছিল আন্তর্জাতিক চক্রান্তের বিশাল থাবা, আর এই হত্যাকারীরা ছিল তাদের ক্রীতদাস। মুক্তি যুদ্ধে পাকিস্তান হেরে যাওয়াতে, পাকিস্তানের সহায়তাদানকারী(মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সৌদী্ আরব ও চীন) আহত হায়েনারা মরন থাবা দেয়ার জন্য সুযোগের সন্ধানে ছিল ওৎপেতে বসেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়েছিল বিপথগামী কিছু সেনাবাহিনী এবং বেইমান উচ্চাভিলাষী আওয়ামী লীগ নেতাদের মাঝে। আর চীন তার জাল বিছিয়েছিল বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের মুলমন্ত্রদানকারী অতি বিপ্লবী সমাজতান্ত্রিক মোল্লাদেরকে দিয়ে। আর সৌদীর প্রচেষ্টা ছিল রাজাকারদেরকে আবার পুনর্বাসন করা নিয়ে। যা তৎকালীন সময়কার পেক্ষাপট বিশ্লেষন করলেই স্পষ্ট বুঝা যায়। নিচের উদ্ধৃতিগুলো বিশ্লেষন করলেই তা স্পষ্ট হয়ে যায়। 
নিচের বোল্ড করা অংশটুকু তাহেরের শেষ চিঠি থেকে নেয়া:
জলিল, রব, জিয়া আমাকে দৃঢ় আলিঙ্গনে আবদ্ধ করলো। এই আলিঙ্গন অবিচ্ছেদ্য। এমনিভাবে দৃঢ় আলিঙ্গনে আমরা গোটা জাতির সঙ্গে আবদ্ধ। কেউ তা ভাঙতে পারবে না। বিভিন্ন সেলে আবদ্ধ কয়েদি ও রাজবন্দীরা অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে বন্ধ সেলের দরজা-জানালা দিয়ে। মতিন সাহেব, টিপু বিশ্বাস ও অন্যান্যরা দেখালো আমাকে বিজয় চিহ্ন। এই বিচার বিপ্লবীদেরকে তাদের অগোচরে ঐক্যবদ্ধ করলো। 
সেনাবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় থেকে কোন সেনাকর্মকর্তার রাজনীতি করার কোন সুযোগ নেই, অথচ কর্ণেল তাহের তার বক্তব্যতে স্পষ্ট করেছিলন, তিনি সেনাবাহিনিতে থাকাকালীন অবস্থায় প্রত্যক্ষ রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। সেই রাজনীতি ছিল কোনটি? রব, জলিল, ইনু এরা কোন রাজনীতি করতো? এরাই ছিল তখনকার অতি বিফ্লবী সমাতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল জাসদের নেতৃত্বে এবং কর্ণেল তাহের ছিল এদের ইন্ধনদাতা। যিনি সব সময় কল্পনা করতো, চীনের আদলে সেনাবাহিনী তৈরী করে দেশ শাসন করবেন, যা মেজন ডালিমের স্বীকারোক্তিতে পাওয়া যায়। 
স্বাধীনতার পর দেশে সরকার যেন স্থির অবস্থায় না থাকতে পারে এটাই ছিল ষড়যন্ত্রকারীদের প্রধান লক্ষ্য। তাই এই অতি বিপ্লবী রাকজনীতিকদেরকে তারা ক্রীতদাস বানিয়ে, তাদের দ্বারা দেশের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি কারই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। এই সময় জাসদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যই তা প্রমান করে যে, তারা আমাদের স্বাধীনতা বিরোধী শত্রুদের সাথে সম্পৃক্ত হয়েই এখানে কার্যক্রম চলিয়েছিল। এরা তখন জঘন্যতম অপরাধের কিই না করেছিল। সমাজতন্ত্রের অপব্যাখ্যা প্রদান করে, এদেশের তরুণ সমাজকে তারা জঙ্গী বানাতে তারা এতটুকুও কুণ্ঠাবোধ করেনি। যা বর্তমানে ইসলামী জঙ্গীবাদীরা করছে। তাদের মুল উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যেন তেন ভাবে সিংহাসন দখল করা। তাই তারা সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে সমাজতন্ত্র কায়েমের কথা বলে, তরুণ সমাজকে লেলিয়ে দিয়েছিল। তাদের অসৎ উদ্দেশ্যের জন্য তারা যুদ্ধে ব্যবহারকৃত অস্ত্রগুলো জমা না দিয়ে, তারা তৎকালীন সময় সমাজের তরুণদের হাতে তুলে দিয়েছিল সেইসব অস্ত্র। রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্য কখনই ডাকাতি হতে পারে না। কিন্তু এরা তাই করতো। এর সগ্রামের ব্যয়ের নামে অর্থ মানুষের বুকে অস্ত্র ধরে এরা অর্থ সংগ্রহ করতো। এরা মানুষের কাছে চিঠি সাথে কাফনের কাপড় ও বুলেট পাঠিয়ে, ভয় দেখিয়ে অর্থ সংগ্রহ করতো। এরা বেছে বেছে বুদ্ধিজীবি, বিজ্ঞ রাজনীতিকদের হত্যা করতো। সমাজে যত প্রকারের বিশৃঙ্খলা করার, এরা তাই করতো। জলিল, রব, ইনু, জিকু, সিরাজ সিকদার, সিরাজুল ইসলাম সহ আরও অনেকই ছিল এদের হোতা এবং ব্যাকসাইট লিডার হিসাবে ছিল কর্ণেল তাহের। '৭৫-এর নভেম্বর যখন জিয়াকে বন্দি করেছিল, মোশারফ বাহিনীকে নির্মুল করা হলো এবং জিয়াকে মুক্তির নামে পরবর্তী সময়টাতে যা কিছু ঘটেছিল, তা ছিল কর্ণেল তাহেরের নির্দেশিত সাজানো নাটক।
শেখ মুজিবকে স্ব-পরিবারে হত্যা করা ছিল ষড়যন্ত্রকারীদের প্রথম ধাপ। দ্বিতীয় ধাপ ছিল, সেনাবাহীনির মধ্য থেকে স্বাধীনতার পক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদেরকে হত্যাকরা। তা তারা ঘটিয়েছিল নভেম্বরে। এরপরেই ধাপ ছিল জিয়ার সাথে কর্ণেল তাহেরের সিংহাসন ভাগাভাগির সন্ধি। কারণ জিয়াকে উদ্ধারের সময় ইনু একজন রাজনীতিবিদ হয়ে ক্যান্টমেন্টে তখন অবস্থান করছিল। এই ইনু ছিল জাসদের সশস্ত্র সংগ্রামের প্রধান সেনাপতি। তার নেতৃত্বেই তরুণদেরকে সশস্ত্র সংগ্রামের উদ্বুদ্ধ করা হতো। কর্ণেল তাহের ভাল করেই জানতো যে, জিয়া ছিল অত্যন্ত ক্ষমতা লিপ্সু একজন সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা। কারণ এই জিয়া স্বাধীনতা ঘোষনাপত্র রেডিওতে পাঠ করতে গিয়ে, নিজেকে প্রেসিডেন্ট বলে নিজেকে দাবী করেছিল। পরবর্তীতে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতাদের চাপের মুখে শেখ মুজিবের নাম উল্লেখ করেছিল। জিয়ার এই চরিত্রের কারণেই কর্ণেল তাহেরের খুব ভাল করেই জানা ছিল। তাই খন্দকার মুশারফ বাহিনীকে খতম করার পরেও কর্ণেল তাহের জিয়াকে বন্দি দশা থেকে মুক্ত না করে, জিয়ার সাথে ক্ষমতা ভাগাভগির সন্ধি জন্য অপেক্ষা করছিল। জিয়া ছিল বিশ্ব মতলববাজ লোক। সে ছিল সেরের উপর সোয়াসের। নিজেকে বন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত পাওয়ার জন্য কর্ণেল তাহেরের সব প্রস্তাবে রাজি হয় এবং মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে, ওস্তাদের মার শেষ রাতেই দেখাবো। এবং দেখিয়েই ছেড়েছে সে। জিয়া বন্দি অবস্থা থেকে বের হয়েই ভাবলেন ওস্তাদের মার শেষ রাতে কিভাবে দেয়া যেতে পারে। এরাতো মুক্তিযোদ্ধা, আবার সেনাবাহীনির সাথে এদের গভীর সম্পর্ক আছে, এরা যে কোন সময় যা খুশি তা করতে পারে, এমনও হতে পারে একচটকানীতে তারে উল্টায়ে দিতে পারে। তাই জিয়া স্বাধীনতার কে শত্রু আর কে যুদ্ধাপরাধী তা বিচার না করে, ক্ষমতার লোভে জামাত শিবিরকে সঙ্গে নেবার বাসনায় তাদেরকে পুণর্বাসন করা শুরু করলো এবং বৈজ্ঞানীক সমাজতন্ত্রের স্বপ্নধারী, অবৈজ্ঞানীক মোল্লা কমরেডদেরকে এক যোগে জেলের মধ্যে পুরলেন। এটাই ছিল জিয়ার ওস্তাদের মার শেষ রাতে। কর্ণেল তাহেরের উপরোক্ত উক্তির এই অংশে তা স্পষ্ট ফুটে উঠে, 'জলিল, রব, জিয়া আমাকে দৃঢ় আলিঙ্গনে আবদ্ধ করলো। এই আলিঙ্গন অবিচ্ছেদ্য। এমনিভাবে দৃঢ় আলিঙ্গনে আমরা গোটা জাতির সঙ্গে আবদ্ধ। কেউ তা ভাঙতে পারবে না।' অর্থাৎ জিয়াকে বিশ্বাস করে এখন সে অনুতপ্ত, জিয়ার বিশ্বাসঘাতকতা তাদেরকে চরম শিক্ষা দিয়েছে। তাই এখন থেকে কোনই সন্ধি নয়, সশস্ত্র সংগ্রামই একমাত্র পথ। জলিল, রব, জিয়ার আলিঙ্গনে তাই অনুভুতি লাভ করেছে, তার অবর্তমানে এরাই এই পথকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।তাহের শেখ মুজিব হত্যাকারীদের মধ্যর যে একহন ছিলেন এবং সেও জিয়ার মত একজন ক্ষমতা লিপ্সু ছিল তাতে কোনই সন্দেহ নেই।
নিচের বোল্ড করা অংশটুকু তাহেরের শেষ চিঠি থেকে নেয়া:
দেশ সৃষ্টির জন্য আমি রক্ত দিয়েছি। আর সেই সূর্যের জন্য আমি প্রাণ দেব, যা আমার জনগণকে আলোকিত করবে, উজ্জীবিত করবে_এর চাইতে বড় পুরস্কার আমার জন্য আর কী হতে পারে? আমাকে কেউ হত্যা করতে পারে না। আমি আমার সমগ্র জাতির মধ্যে প্রকাশিত। আমাকে হত্যা করতে হলে সমগ্র জাতিকে হত্যা করতে হবে। কোন শক্তি তা করতে পারে? কেউ পারবে না। কিন্তু বিশ্বাসঘাতক ও চক্রান্তকারী জিয়া ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমাকে জনগণের সামনে হেয় করার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে। বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রবাদীরা কতটা স্বপ্নবিলাসী ছিল তাহেরের এই উক্তিতেই বোঝা যায়, 'আমাকে হত্যা করতে হলে সমগ্র জাতিকে হত্যা করতে হবে। আমি আমার সমগ্র জাতির মধ্যে প্রকাশিত।' আহা! সে মনে করেছিল যে, যুদ্ধে তার এক পা খোড়া হওয়াতে, তার রক্তের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা হয়েছে, তাই সব জনগণ তার। ত্রিশ লক্ষ্য শহীদ এবং দুই লক্ষ্য মা-বোনের ইজ্জত কিছুই ছিল না। কি দুঃসাহসিক কথাবর্তা। জেগে জেগে স্বপ্ন দেখেছিল সব জনগণ তার, দেশের জনগণ তাকে যেন স্মরণ করে বসে থাকবে পৃথিবী ধ্বংসের পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত। জনগণ এতই মনে রেখেছে যে, তার মৃত্যুর স্মরণ সভায় একশত জন মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় না। আসলে যারা পথভ্রষ্ট হয়ে যায়, তারা পথভ্রষ্টই। তাদেরকে মনে রাখার কোনই প্রশ্ন জাগে না। শুধু এটাই না, জনগণতো পরের কথা, তার সঙ্গে যারা ছিল তাদের অবস্থা পরবর্তীতে কি হয়েছিল? যে জলিলকে বুকে জড়িয়ে ধরে তাহের অবিচ্ছেদ্য আলিঙ্গনের উস্মা উপলব্ধি করেছিল, সেই জলিল তাহের মৃত্যুর দশ পনের বছর পরেই, পাকিস্তানে গিয়ে পাক্কা মুসলমান সেজে সেখানেই মরলো। ইনু, রব, জিকু, এদের বর্তমানে কি অবস্থা? একেকজন একেক দলের পা চাটার দালাল হয়ে পড়ে আছে। কি স্বপ্ন ছিল তাহেরের! 'আর সেই সূর্যের জন্য আমি প্রাণ দেব, যা আমার জনগণকে আলোকিত করবে, উজ্জীবিত করবে_এর চাইতে বড় পুরস্কার আমার জন্য আর কী হতে পারে?' আহা! পথভ্রষ্টরা পথভ্রষ্টই। এরা মানুষকে শুধু স্বপ্নই দেখাতে পারে, কিন্তু এদের নিজেদেরই যখন কোন পথ জানা না থাকে, তারা আবার জাতিকে কি পথ দেখাতে পারে? যাদের আলিঙ্গন তাহেরের কাছে অবিচ্ছেদ্য বলে মনে হয়েছিল, তারা নিজেরাই এমন বিচ্ছেদের মধ্যে আছে যে, এখন গণনাই করা যায় না। এক ব্যক্তি, এক দলে পরিণত হয়েছে। 
শেখ মুজিবকে হত্যার ষড়যন্ত্রের আগে যদি তাহের এই অনুতপ্তটা করতে পারতো, তাহলে আজ সে সত্যি বীর মুক্তিযোদ্ধা হয়েই থাকতেন এতে কোনই সন্দেহ নেই। কিন্তু নিউটনের তৃতীয় সূত্রের কাছ থেকে কেউ শিক্ষা নিতেই চায় না। বিশ্বাসঘাতকতা করলে বিশ্বাসঘাতকদের শিকার হতে পারে, এটা যেন ভুলেই যায়। তাহের তার চিঠির এই উক্তি দিয়ে আবারও প্রমান করেছিল, 'কিন্তু বিশ্বাসঘাতক ও চক্রান্তকারী জিয়া ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমাকে জনগণের সামনে হেয় করার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে।' সে নিজেও জানতো না যে তাকে একদিন বলির পাঁঠা রূপে তার পরিণতি ঘটতে পারে। 
হৃৎকমল, আর কতদিন মানুষকে বুঝ দেবার কথা বলবেন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, তার দলের লোকেরাই। তাহলে ইতিহাস বলবে সিরাজকে হত্যা করেছিল মীরজাফরই, ব্রিটিশ বেনিয়ারা না। হ্যাঁ, ব্রিটিশরা সিরাজকে ক্ষমতা থেকে সরানোর পরিকল্পনায় মীরজাফরকে ব্যবহার করেছিল, ঠিক তেমনিভাবে একই কায়দায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরাস্ত শক্তিরাও ব্যবহার করেছিল ঐ বেইমান কিছু নেতাদেরকে, পথভ্রষ্ট বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের স্বপ্নবিলাসীদেরকে এবং এর রুপকে জন সম্মুখে বড় আকারে প্রচার করার জন্য বাকশালের অনেক নেতাকেই ঐ মসন্ত্রিসভার সদস্য করা হয়েছিল বন্ধুকের নল দেখিয়ে। এই সামান্য বিষয়টি যদি বুঝার ক্ষমতা না থাকে তাহলে রাজনৈতিক বিশ্লেষনমূলক বক্তব্য দেন কোন অধিকারে। তাই প্রথমেই বলেছিলাম, কালো চশমা পড়ে আলোতে কিছু দেখা গেলেও, অন্ধকারের কিছুই দেখা যায় না। যে অন্ধকারে এখনও আপনাদের মত অনেক লোকই পড়ে আছে। আপনিও তাদের বাহিরে নন। 

৭১ এর লুটেরা কতিপয় মুক্তিযোদ্ধার নামও তালিকাভুক্ত !

come to mukthi and learn the truth
আমার চোখে দেখা যে সকল মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধের নামে ৭১ এ অস্ত্রের মূখে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ীতে ডাকাতি স্বরনাংকার লুণ্ঠন ও যুবতি মেয়েদের ধর্ষণ করেছিল; তারাই আজ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সনদপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা আর গোপালগঞ্জ মাদারীপুর কালকিনি রাজঐর শিবচরের সকল লোভী লুটেরা অমুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছেন প্রখ্যাত হেমায়েত বাহিনীর প্রধান আমাদের হেমায়েত ভাই। প্রত্যেকের নিকট থেকে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা গ্রহণ করে তিনি এ মহান কাজটি করেছেন। ধন্যবাদ বীর মুক্তিসেনা কমান্ডার হেমায়েত সাহেব কে।

Thursday, September 24, 2015

১৫ই আগষ্ট বাঙ্গালী জাতির স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও অস্তিত্ব বিপর্যায়ের মহাকাল।

come to mukthi and learn the truth
১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫ সাল
বাঙ্গালী জাতির স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব অস্তিত্ব বিপর্যায়ের মহাকাল
৭১ হেরেযাওয়া হিংস্র হায়েনা পশু পাকিস্তান আই এসআই স্বদেশী পাচাটা নরপিশাচ সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী ঘাতক দালাল আল বদরআল শামস আল রাজাকার কর্তৃক মধ্যযুগীয় বর্বর হত্যাকাণ্ডের নীল নক্সা বাস্তবায়নের তৃতীয় অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটায় জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার মাধ্যমে


পাকিস্তান পিপলস পার্টির জুলফিকার আলী ভূট্টোর খায়েশ মিটাতে রাও ফরমান আলী ইয়াহিয়া আর টিক্কার নির্দেশে ৭১ যেমনবাঙ্গালী নিধনের গোলাবারুদ আর কামান গর্জে উঠেছিল; ঠিকএকই ধারায় স্বদেশী হায়েনা আর কিছুউচ্চাভিলাষী সেনা সদস্যের কামান বাঙ্গালী জাতিকে চিরতরে এতিম করে লাল সবুজের পতাকাকে করে যায় কলঙ্কিত- এইকালো রাত্রি ১৫ আগষ্ট, ১৯৭৫
শুধু রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করেনি; হত্যা করেছে রাষ্ট্রের গণতন্ত্র সমাজতন্ত্র জাতীয়তাবাদ ধর্মনিরপেক্ষতার মুলপবিত্র সাংবিধানিক কাঠামো আদর্শ নীতিকে    
 তাতেও যদি ক্ষান্ত হত, দুঃখছিলনা দুঃখ এখানেই যে মুজিব হত্যার বিচার করা যাবে না পাকিস্তান আই এস আইইন্টেল্যাকচুয়াল/ পাকিস্তান সিকিউরিটি অফ ইনটেলিজেন্ট মেজর জিয়াকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার উপঢৌকন দিয়েশেখমুজিব হত্যার বিচারকে রোহিত করার জন্য কালো আইন ইনডেমনিটিপাশকরান হয়যাতেবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হত্যার বিচার কখনোই কার্যকর না করা যায় অর্থাৎ বাংলার মাটিতে যেনো শেখ মুজিবের নাম পুনরায় উন্থাপিত না হয়
একটি পরিবার, একটিমন্ত্রী পরিষদ, একটিরাজনৈতিক দলের নীতিনির্ধারক, মুক্তিযোদ্ধা, মুজিব বাহিনী, মহানস্বাধীনতার সফল সংগঠক, জাতীয় নেতা, আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা কর্মী, ভক্তঅনুসারী, স্থল, নৌ বিমান বাহিনীর জোয়ানদের হত্যাকারী পাপিষ্ঠের যথোপযুক্ত শাস্তির বিধানকে পকেটে রাখার মত দাম্ভিকতা দেখিয়ে, বিচার বিভাগীয় সকল স্বাধীনতা খর্ব করে স্বৈরাচারী খুনি ঘাতক সামান্য একজন মেজর হয়ে যায় প্রধানসামরিক আইনপ্রশাসক  লেফটয়ান্যান্টজেনারেল জিয়াউররহমান
কিন্তু বিধাতা বলে, আল্লাহ্বলে, ভগবান বলে অথবা ঈশ্বর বলে তো একজনআছেন যিনি জগতের শ্রেষ্ঠ বিচারক মুজিব হত্যার বিচার হয়েছে এই বাংলার মাটিতেই জিয়ার মৃত্যুর পরে লাশ খুঁজে পাওয়া যায়নি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস থেকে মিথ্যে বানোয়াট ভুয়া মৃতদেহের নামে একটি শূন্য কফিন হেলিকপ্টারে বহে এনে গোটা বাঙ্গালী জাতিকে চরমভাবে প্রতারণা করা হয়
জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার তাঁর যোগ্য উত্তরসূরি জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থা বিধি নিয়ম নীতি আইনের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত করেছেন
কিন্তু জিয়া হত্যার বিচার হল নাকেন
তাঁর বিধবা স্ত্রী মাননীয় বি এনপিচেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মূখে জাতি কেন একবারও শূনতে পেলো নাজিয়াহত্যার বিচার চাই” ?? কথা আওয়ামী লীগ নেত্রী বিচক্ষক জননেত্রী শেখ হাসিনাও অনেক জনসভায় প্রশ্ন তুলেছেন”  জিয়া হত্যার বিচার হল নাকেন? জিয়াওতো বিতর্কিত হলেও একজন মুক্তিযোদ্ধা সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন? ছিলেন অবৈধ হলেও দেশের রাষ্ট্রপতি??????  তাঁর হত্যার কেন বিচার হবে না? যারাআওয়ামী লীগ তথা স্বাধীনতার স্বপক্ষের বলে দাবী করেন, তারাসুদীর্ঘ ২১ টিবছর উন্মাদের মত রাজপথ কাপিয়ে দিয়ে গগনবিদারী চিৎকার করে বলেছেমুজিব হত্যার বিচার চাই মহান আল্লাহ্তাকবুল করেছেন মুজিব হত্যার বিচার অসম্পূর্ণ হলেও জনেরফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে
কিন্তু আমার যে বন্ধুরা বি এন পিএকান্ত নেতা কর্মী ভক্ত অনুসারী তাদের মুখেও কেন আমরা ঘুমের ঘোরে ভুল করেও শূনতে পেলাম নাআমরাজিয়া হত্যার বিচার চাই”?
এই জিয়া হত্যার বিচার না চাওয়া বরং ধামাচাপা দেবার রহস্যজনক লীলাখেলাভেদ উন্মোচনে বিজ্ঞ ব্যর্থ রাজনীতিবিদ সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রফেসর ডঃ বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ভূমিকা কি? তিনিতো জাতিকে সত্য ঘটনা খুলে বলতে পারেন
মোকতেল হোসেন মুক্তি সভাপতি, সময়৭১ সহ সভাপতি, কেন্দ্রীয় কমিটিবাংলাদেশআওয়ামী তরুণ লীগ.প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মালদ্বীপ আওয়ামী লীগ